ঘুম পাওয়ার কারণ কি ?

ঘুম পাওয়ার কারণ কি ? মানব জীবনে ঘুম অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ঘুম ছাড়া মানুষ বাচতে পারবে না, চলতে পারবে না। তাছাড়া সুস্থ থাকার জন্য ডাক্তার আমাদের দৈনিক ৬/৭ ঘন্টা ঘুমানোর জন্য বলে। এমনো অনেক মানুষ আছে যারা সব সময় ঘুমাতে পারে । তাছাড়া ঘুম আমাদের এতোটা প্রয়োজন যদি কেউ নিয়মিত সপ্তাহ খানেক না ঘুমায়, তাহলে ধীরে ধীরে ঐ মানুষটার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এমনো হতে পারে ঐ মানুষটা পাগল হয়ে যেতে পারে। এখন কথা হলো আমাদের ঘুম পায় কেনো।

ঘুম পাওয়ার অনেক গুলো কারণ রয়েছে। ঘুম আমাদের একটি জৈবিক চাহিদা। পরিবেশগত ভাবেই আমরা নিয়মিত ঘুমাই এবং আমাদের শরীরে ঘুমের চাহিদা রয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিক ভাবেও এর কিছু ব্যাখ্যা রয়েছে। এই লেখাতে প্রতিদিন আমাদের ঘুম পাওয়ার কারন কি? সে বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটা কারণ তুলে ধরছি।

ঘুম পাওয়ার কারণ কি ?

ঘুম পাওয়ার কারণ হচ্ছে আমারে শরীরের দুর্বলতা। কারন সারাদিনে কাজ শেষে যখন আমাদের স্নায়ু শক্তি একে বারে দুর্বল হয়ে যায় তখন আমাদের শরীর ক্লান্তি ভাব আসে এবং আমাদের ঘুম পায়। আর আমরা যখন ঘুমিয়ে যাই, আমাদের মস্তিষ্ক ধীর ধীরে আমাদের শরীরকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে।
ধরেন আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দুই ঘন্টা চার্জ দিয়ে ১০০% পাওয়ার সঞ্চয় করলেন। অতপর আপনি এটা দিয়ে আপনার ভিবিন্ন কাজ করলেন, যেমন আপনি গেইম খেললেন, ভিডিও দেখলেন, ভিডিও কল, বা অডিও কলে কথা বলেন।

আপনি আমার এই লেখা আর্টিক্যালটিও পড়লে এখন আপনি দেখবেন আপনার মোবাইলে চার্জ আগের মতো ১০০% নয়। কারন কি আপনি এতোক্ষন কাজ করার কারনে সঞ্চিত পাওয়া কমে গেছে। এবার নিশ্চই আপনি আবার চার্জে লাগিয়ে দিবেন যাতে করে মোবাইলের ব্যাটারি আপনার চার্জ সঞ্চয় করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ বাস ভ্রমণে ঘুম আসে কেন?

ঠিক একি ভাবে আমাদের দৈনিক কাজ কর্মের সময আমারে স্নায়ু শরীরকে শক্তি যোগায়। এবং পরিচালনা করে। আপনার মোবাইলের ব্যাটারির মতো করে স্নায়ু ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পরে। আর আপনার শরীরে দুর্বলতা অনুভব করের। যখন স্নায়ু তার নির্দিষ্ট সীমায় পৌছে যায় ঠিক তখনি আমাদের ঘুমের প্রয়োজন পরে। আর আমাদের মস্তিষ্ক তখন ঠিকটাক কাজ করবেনা । যেমন ভাবে আমাদের অনেক স্মার্ট ফোনে চার্জ কমে গেলে উল্টা পাল্টা কাজ করে ঠিক তেমটাই করবে আমাদের মস্তিষ্ক।

প্রাকৃতিক কারণ:-

প্রাকৃতিক বলতে আমারা আমরা প্রতি রাতে যে ঘুম ঘুমাই। মানে রাত গভির হওয়ার সাথে সাথে আমারদের যে ঘুম ভর করে সেটা । কারন আমরা মানুষ হিসেবে রাতে ঘুমানো আমাদের একটা সৃষ্টিগত সিস্টেম।

শারীরিক কারন:-

শারীরিক কারণ বলতে আমরা প্রচুর প্ররিশ্রমের কারণে শরীরে ক্লান্তি চলে আসে যার ধরুন আমাদের অনেক সময় ঘুম পায়। মানে আমাদের শরীর একটু বিরতি চায়। যার কারণে আমাদের ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে অথবা আমাদের ঘুম পেয়ে যেতে পারে। এটা হচ্ছে আমাদের শারীরিক কারণ ঘুম লাগার।

অসুস্থতার কারণ:-

ঘুম পাওয়ার কারণ কি – এর একটা কারন হতে পারে আমাদের অসুস্থতা। কারণ অসুস্থার কারনেও কিন্তু আমাদের ঘুম পেতে পারে। কারণ এমনও অনেক রোগ বা অসুস্থতা আছে যা বোঝার প্রথম লক্ষন হলো অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া। মানে যদি আপনারা খুব বেশি ঘুম পায়। অনেক ঘুমানোর পরেও মনে হয় আপনার ঘুম হয়নি আরো ঘুমাতে হবে। কার্যতো আপনি অনেক ঘুমিয়েছেন তার পরেও আপনার ঘুম পাছে। মানে আপনার একটা রোগ হয়ে গেছে যেটার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া।

কেন ঘুম পায়:-

ঘুম নিয়ে গবেষনা করে গবেষকেরা এক মত ..শরীর ও মনের শক্তি পুনঃসঞ্চয় করতে য়ুমের প্রয়োজন হয়। তা ছাড়া সব ধরনের শারীর কার্যক্রমের জন্য যে দৈহিক শক্তি প্রয়োজন সেটা তৈরী করতে ঘুম অতি প্রয়োজনীয়।

উপরোক্ত বিষয় গুলোর জন্যই আমাদের ঘুম পায়। আমাদের সকলেরই উচিত নিয়মিত পরিমানমতো ও সময়মতো ঘুমানো। কথায় আছে – “A sound mind lise in a sound body”. আর আমাদের সেই সাউন্ড/ সুস্থ দেহের জন্য অবশ্যই নিয়মিত ঘুমাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বই পড়তে গেলেই আমাদের ঘুম আসে কেন?

মূলকথা- ঘুম পাওয়ার কারণ হলো আমাদের স্নায়ু দুর্বল হয়ে যাওয়া। আর স্নায়ুকে পুনঃরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে একটা মাত্রই রাস্তা সেটা হলো ঘুম। সুতরাং আমাদের ঘুম পাওয়ার কারণ হলো আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা তৈরি করার জন্য একটু বিশ্রাম বা বিরতি নেওয়া।

1 thought on “ঘুম পাওয়ার কারণ কি ?”

  1. נערות ליווי באילת שירותי ליווי באילת

    Good post. I certainly appreciate this website. Continue the good work!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *