এন্টিবায়োটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন? Antibiotic Syrup কোন দ্রবনের তৈরি?

ছোটবেলার কফ সিরাপ খাওয়ার সময় নিশ্চয়ই দেখেছেন যে আপনার বাবা কিংবা মা সিরাপ এর বোতল ঝাঁকিয়ে তারপর খাওয়াচ্ছে। কিন্তু এন্টিবায়োটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন! (why antibiotic syrup should drink after shaking)। মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যখন অনেক তরল ঔষুধই ঝাঁকিয়ে খেতে হয় না।

এন্টিবায়োটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় যেকারণে

আমরা যেসব তরল ঔষধ খাই তার কিছু তৈরি হয় হোমোজেনাস (একইরকম) উপাদান থেকে, আর কিছু ঔষধ তৈরি হয় বিভিন্ন রকম উপাদান দিয়ে, অর্থাৎ এরা হোমোজেনাস নয়। এন্টিবায়োকি সিরাপ এমনই বিভিন্ন হেটেরোজেনাস উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি মূলত কোনো তরল নয়, বরং এই মিশ্রণকে সাসপেনশান বলে।
এন্টিবায়োটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন

যে সমস্ত মিশ্রণ অনেকক্ষণ যাবৎ রেখে দিলে উপাদানসমূহ আংশিক আলাদা হয়ে যায় তাদেরকে সাসপেনশন বলে। এন্টিবায়োটিক সিরাপ সাসপেনশনের একটি উদাহরন।

পৃথিবীর সকল উপাদানেরই নিজেদের মধ্যে আকর্ষন ক্ষমতা রয়েছে, যা তাদেরকে এক করে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু একই পাত্রে দুই বা তার অধিক উপাদান থাকে, তখন যদিও জোর করে একসাথে রাখা যায়, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে প্রতিটি কনা তার সমধর্মী উপাদানের দিকে সরে আসবে।
ঠিক একারণেই যখন এন্টিবায়োটিক সিরাপ রেখে দেওয়া হয়, তার ভিতরের বিভিন্ন উপাদান বিভক্ত হয়ে যাবে। ভর এর উপর নির্ভর করে কিছু উপাদান নিচে চলে যাবে, কিছু মাঝে আর কিছু উপরে উঠে আসবে।
এখন যদি কেউ এন্টিবায়োটিক সিরাপ না ঝাঁকিয়ে খায়, তবে তিনি সাসপেনশানটা খাবেন না, বরং উপরের অংশে উঠে আসা সমধর্মী উপাদানের তরলটুকুই শুধু খাবেন। যা তার জন্য কোনো কাজেই আসবেনা, কিংবা এর থেকে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।
এই কথা শুধুমাত্র সিরাপের বোতলই নয়, বরং বিভিন্ন সফট ড্রিংকস এর ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। তাই এখন থেকে এন্টিবায়োটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে ভুলবেন না যেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *