আমাদের জীবনকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের গেজেট বাজারে এসেছে। ঘরের কাজকর্মের সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের গেজেট আছে। আজ তেমন কিছু গ্যাজেট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করছি এগুলো আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।
১. Foldable fan
ফ্যান আমাদের জীবনের একটি আনুষাঙ্গিক ডিভাইস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ফ্যানটাকে যদি পোর্টেবল করা যেত তাহলে কেমন হতো! হ্যাঁ এমন একটি ফ্যান বাজারে এসেছে। যেটাকে আপনি ভাঁজ করে রাখতে পারবেন। যেটা খুবই হালকা। বিদ্যুৎ চলে গেলেও কোনো চিন্তা নেই। এর রয়েছে দশ ঘন্টা ব্যাকআপ সিস্টেম।
এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এটাকে অনেকটা লম্বা স্ট্যান্ডে রূপান্তরিত করা যায়। কোনো জায়গায় পিকনিকে গেলে এটা আপনাদের খুবই কাজে লাগবে।
২. Fingerprint lock
আমাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা তালা ব্যবহার করি। বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন আকৃতির তালা আমরা দেখেছি। কিন্তু সবগুলোরই একটি কমন ব্যাপার হচ্ছে, প্রতিটা তালারই চাবি থাকে। কিন্তু কখনো কি চাবি ছাড়া তালার কথা শুনেছেন? হাঁ প্রযুক্তির কল্যাণে এমন একটি তালা এসেছে যা চাবি ছাড়া খুলবে। চাবি ছাড়া খুলল এটা খুবই নিরাপদ। কেননা এটা শুধুমাত্র আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন দ্বারাই খোলা সম্ভব। এই তালাটা কেউ নকল চাবি বানিয়ে খুলতে পারবে না। এটা পানি নিরোধক।
৩. Vacuum sealer
আমরা অনেক জিনিস ফ্রিজে প্লাস্টিকের ব্যাগ অথবা পলিথিনে মুড়িয়ে রাখি। ফ্রিজ ছাড়াও আমরা পলিথিনে অনেক খাবার রাখি। খাবার নষ্ট হওয়ার পেছনে বাতাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেননা বাতাসে থাকে কার্বনডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেন। কার্বনডাইঅক্সাইড ছত্রাক উৎপাদনে সাহায্য করে।
অক্সিজেন বিভিন্ন ধরনের জীবাণু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বাতাস নিরোধ হোক প্যাকেটে খাবার রাখলে সেটা দীর্ঘক্ষণ ফ্রেশ থাকে। এইজন্য বাজারে এসেছে এই ভ্যাকিউম সিলার। যা প্যাকেটের মধ্যে থেকে সম্পূর্ণ বাতাস শুষে বের করে দেয় এবং সেটা সিল করে দেয়। এর ফলে বাইরের কোনো জীবাণু এর মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। এতে আপনার খাবার থাকে নিরাপদ। এটা গৃহস্থলীর কাজে খুবই প্রয়োজনীয় একটি গেজেট।
৪. Hand power flashlight
ফ্ল্যাশ লাইট আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। রাতের বেলা অন্ধকারে এটার প্রয়োজন অত্যাধিক। কিন্তু কী হবে, যদি আপনার ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়? এবং চার্জ করার জন্য বিদ্যুৎ না থাকে।
এই সমস্যার থেকে পরিচালনার জন্য বাজারে এসেছে এই বিশেষ ধরনের লাইট। এই লাইটে একটি ছোট হাতল আছে যেটাকে প্রেস করতে হবে। এই প্রেস করার ফলে এর মধ্যে থাকা ছোট ডায়নামা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে। সেই বিদ্যুতেই চলবে এর এলইডি লাইট। এটাকে অনেকে ইমারজেন্সি লাইট বলে থাকে। কেননা ইমারজেন্সি মুহূর্তে এর চেয়ে কাজের আর কোনো ডিভাইস নেই। আমি মনে করি প্রত্যেকের ঘরে এই ডিভাইসটা থাকা উচিত।