ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন ৩ ফুট দূরত্বে রাখা উচিত কেন?

মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি অভ্যাস হলো মোবাইল ফোন মাথার কাছে নিয়ে ঘুমোনো। যুক্তরাষ্ট ও চীন দু’টি দেশের পৃথক গবেষণায় গবেষকরা দেখিয়েছেন, মোবাইল ফোনের সার্বক্ষণিক সঙ্গ, বিশেষকরে রাত্রে ঘুমোনোর সময়ে শরীরের কাছাকাছি মোবাইল ফোন রাখা খুবই বিপজ্জনক। এই অভ্যাস আমাদের জীনব নাশের কারণ হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রাতে মাথার কাছে মোবাইল ফোন রেখে ঘুমালে শরীরে রেডিয়েশনের প্রভাবে প্রাণকোষদের বিকাশে বাঁধার সৃষ্টি করে। ফলে বিভিন্নধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক আকারে বৃদ্ধি পায়।

আরেকটি ব্যাপার হলো, অধিকাংশ লোক সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার জন্য মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে ফোনটি মাথার পাশেই রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। মোবাইলে অ্যালার্ম সেট করার পর থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সেটি বন্ধ করছি, ততক্ষণ পর্যন্ত ফোন থেকে রেডিও ট্রান্সমিশন হতে থাকে। অর্থাৎ মোবাইল থেকে অদৃশ্য তরঙ্গ বের হতে থাকে যার প্রভাবে আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সেই ফোনে আবার যদি চার্জ কম থাকে বা চার্জ দেওয়া অবস্থায় কেউ ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে তো আরো দ্বীগুন ক্ষতি হবে।

গবেষকদের তথ্য মতে, ঘুমোনোর সময় আমাদের শরীর থেকে মোবাইল ফোনটিকে যদি কম করে তিন ফুট দুরত্বে রাখা যায় তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। সেই কারণে এটি অন্তত ৩ ফুট দূরে রেখে ঘুমোনোই ভালো। আর তাছাড়া আমরা তো কেউ ঘুমানোর সময় সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য চ্যাটিংএ থাকি না । সেজন্য মোবাইল ফোনটি ৩ ফুট দূরে রেখে ঘুমোলে কোনো সমস্যা হওয়ার অবকাশই নেই, বরং তা শরীরের জন্য ভালো। একটা কথা মনে রাখা উচিত, সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার এক বড় নেয়ামত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *