মাথার চুল পড়া নিয়ে ছেলে-মেয়ে সবাইকে কমবেশি বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে চুল পড়ার সমস্যা দ্বিগুন হয়ে গেছে। আবার দীর্ঘদিন থেকে ভুগছেনও অনেকে। কারো কারো মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। আবার কারো মাথার চুল পড়ে হচ্ছে টাক। এদিকে চুল পড়ার চিন্তায় ‘চুল পড়া’ যেন আরও বেড়ে যাচ্ছে বহুগুনে! আর এদিকে চুল পড়া ঠেকাতে কত কিছুর পরিকল্পনা করছেন অনেকে।
মূলত, আমাদের বয়স বাড়ার কারণে অথবা বংশগত বা পরিবেশের প্রভাবে চুল পড়েতে শুরু করে। এর কারণে আমাদের মন তো খারাপ হয়ই হয়, বরং মনে হয় যদি কৈশোরের মতো চুলগুলো আবার ফিরে পেতাম কোনভাবে।
চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে আবার অনেকেই হন নাজেহাল। ছেলে-মেয়ে উভয়ই এই সমস্যায় ভোগেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল এমনিতেই পড়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়তে থাকলে সেটা কিন্তু চিন্তার বিষয়।
ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। একটা বয়সের পর চুল পড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে টাক পড়েও যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চুল পড়ে মাথার সামনের দিক থেকে। তবে প্রথমে মাথার দু’পাশ থেকে চুল ঝরতে শুরু করে।
মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি চুল পড়ার কারণ কী?
এন্ড্রোজেন হরমোনের কারণে মূলত ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যা বেশি দেখা যায়। পুরুষের প্রজননক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। মেয়েদের শরীরে এই হরমোনের উপস্থিতি নেই বলেই মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি চুল পড়ে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল পড়ার পাশাপাশি বংশগত কারণেও চুল পড়তে পারে। অল্প বয়সেই টাক পড়ে গেছে মানে বংশে কারও চুল পড়ার প্রবল সমস্যা রয়েছে।
আমাদের মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে যদি উদ্দীপনা দিতে পারি, তাহলে চুল গজানো সম্ভব। প্রতিটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটাকে যদি বাড়ানো যায়, তাহলেও নতুন চুল গজানো সম্ভব।