বিয়ের আঙটি কেন অনামিকায় বা ৪র্থ আঙ্গুলে পড়ানো হয়?

বিয়ের আঙটি কেন অনামিকায়ঃ তাহলে আমরা কেন বিয়ের আঙটি বাম হাতের অনামিকায় বা ৪র্থ আঙ্গুলে পড়ানো হয়? এর পিছনের কারণ কি? আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন দুটি থেকে থাকে তবে চলুন জেনে নেই।

বিবাহে এনগেজমেন্ট রিং পড়ানোর রীতি শুরু হয় মিশরীয় সভ্যতার সময় থেকে, তবে নবম শতাব্দীতে এসে আংটি পড়ানো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

রোমানদের সময় এসে মনে করা হতো যে আমাদের অনামিকা বা ৪র্থ আঙ্গুলের সাথে হার্টের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তারা বলতো আমাদের ৪র্থ আঙ্গুলে এমন একটা শিরা রয়েছে যা সরাসরি হার্টে গিয়ে পৌছেছে।

বিয়ের আঙটি কেন অনামিকা আঙ্গুলে পড়ানো হয়
অনামিকা আঙ্গুলে বিয়ের আঙটি

এই প্রতীকি সংযোগের কারণে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে ৪র্থ আঙ্গুল বা অনামিকায় রিঙ পড়ানোর প্রচলন শুরু হয়।

পরবর্তীতে এই প্রচলন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এখন আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রয়েছে, কিন্তু প্রথা, ঐতিহ্য এখনো আমাদের রয়ে গেছে।

চীনারা আরো একটি যুক্তি উপস্থাপন করে এ বিষয়ে। তারা বিশ্বাস করেন আমাদের হাতের আঙ্গুল আমাদের আত্নীয়তা-বন্ধনের  অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত বলে দিতে পারে। এবিষয়ে তাদের একটা ছোট্ পরীক্ষাও রয়েছে।

আমাদের হাতের ৫টি আঙ্গুল কে ভাগাভাগি করা যাক। 

১) বৃদ্ধা আঙ্গুলি : বাবা – মা

২) তর্জনী : ছেলে – মেয়ে

৩) মধ্যাঙ্গুলি : আপনি নিজে

৪) অনামিকা : আমাদের সঙ্গী/সঙ্গীনী

৫) কনিষ্ঠা : ভাই – বোন

এখন আপনার দুই হাতের আঙ্গুলগুলো পরস্পরের সাথে স্পর্শ করান। মধ্যাঙ্গলিটি যেহেতু আপনি নিজে, সুতরাং মধ্যাঙ্গুলি ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলুন।

এবার বৃদ্ধাঙ্গুলিদ্বয় আলাদা করার চেষ্টা করলে দেখবেন আলাদা হচ্ছে, কারণ আমাদের বাবা-মা সারাজীবন আমাদের সাথে থাকেনা।

একইভাবে অনামিকা ছাড়া বাকি সকল আঙ্গুলদ্বয়কে আলাদা করতে পারবেন। ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে আপনার সাথে সারা জীবন নাও থাকতে পারে।

মধ্যমা ভিতরে রাখা অবস্থায় অনামিকা আঙ্গুল আলাদা করতে পারছেননা, কারণ এটি আমাদের জীবনসঙ্গী, যিনি কখনো, কোন অবস্থায়ই আপনাকে ছেড়ে যাবেনা।

এসব সেসময়ের প্রচলিত উপকথা যেগুলোর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। বিয়ের আঙটি অনামিকায় পড়ালেন নাকি মধ্যমায় পড়ালেন এসব কোন কিছুই ম্যাটার করেনা, যদি একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতে পারেন, যদি এক অপরকে সত্যিকারের ভালবাসেন। এমনকি এনগেজমেন্ট রিং না পড়ালেও আপনাদের বিবাহে কোন বাধা আসবেনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *