রিফারবিশড নামের সঙ্গে অনেকেই আজ আমরা পরিচিত । কিন্তু অনেকের মনেই জানার আগ্রহ রয়েছে, রিফারবিশড ফোন আসলে কি ? এত কম দামে কিভাবে এই ফোন পাওয়া যায় ?
বিভিন্ন অনলাইনে শপিং করতে গেলে মাঝে মাঝেই আমাদের চোখে কম মূল্যে বিভিন্ন ব্রান্ড ফোন চোখে পড়ে, সাথে লেখা থাকে রিফারিবিশড (refurbished = পুনর্নির্মাণ)। আমাদের মনে প্রশ্ন আসে, ব্রান্ড ফোন কিভাবে এত কম মূল্যে পাওয়া যায় ? নকল ফোন কি না, এমন শঙ্কাও মাঝে মাঝে মনে চলে আসে । কিন্তু আপনি জানেন কি, রিফারবিশড ফোন ১০০% অরিজিনাল ব্রান্ড ফোন ।
রিফারবিশড স্মার্টফোন কি?
ধরুন, আপনি একটি মোবাইল ফোন কিছুদিন আগে । আপনার স্মার্টফোনটির সাথে ১ বছরের সার্ভিস এবং রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি পেয়েছেন । কিছুদিন ব্যবহার করার পরে সেই ফোনে কিছু একটা সমস্যা দেখা দিল । স্মার্টফোনটিকে কাস্টমার কেয়ার এ নিয়ে গেলেন, এবং স্মার্টফোনটি ঠিক না করে আপনি রিপ্লেসমেন্ট অর্থাৎ বদল করে নিলেন । কিছু ব্রান্ড (যেমন- আইফোন) পুরাতন ফোনের পরিবর্তে নতুন ফোন এক্সচেঞ্জ অফার করে ।প্রশ্ন হলো, আপনি যে নষ্ট বা পুরাতন ফোনটি তাদের দিয়েছেন সেটাকে তারা কি করবে ?
তারা ফোনটি নিয়ে যে কাজটি করতে পারে সেটা হলো আপনার ফোনে যেসকল সমস্যা বা ক্ষতি ছিলো সেটা রিপেয়ার করে আবার সেল করতে পারে । অর্থাৎ এই ফোনগুলো হচ্ছে ইউজড স্মার্টফোন যেগুলোর প্রবলেম বা দূর্বল পার্টস, স্ক্রিন স্পট ঠিক করে আবার সেল করা হচ্ছে । কিন্তু আপনি জেনে শুনে তো পুরাতন ফোন কিনতে চাইবেন না, এই কারনে এসব স্মার্টফোনের দাম একটি নতুন স্মার্টফোনের থেকে অনেক কম হয় ।
কিন্তু তাই বলে ফোনটি ক্লোন বা নকল ফোন হয়ে যাচ্ছে না, তারা শুধু ব্যবহৃত অরিজিনাল ফোনটিকেই পুনরায় বিক্রি করছে । আর এই ফোন গুলিকেই রিফারবিশড স্মার্টফোন বলা হয় । কম দামে ব্রান্ড ফোন কিনতে চাইলে পুরাতন ফোনের চেয়ে রেফারবিশড ফোন অনেক বেশি টেকসই ।
Leave a Reply