বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিভাবে মাপা হয়?

আমরা খবরে প্রায়ই শুনে থাকি অমুক জায়গায় ৫০ মি.লি বৃষ্টিপাত হয়েছে । আমাদের অনেকের কাছে খটকা লাগে এই বিষয়টা, বৃষ্টিপাত হয়েছে সেটা আবার মিলি তে কেন ? বৃষ্টিপাত মানে পানির আয়তন তা তো লিটার বা অন্য কোন আয়তনের একক হওয়া উচিত ছিল, মিলিমিটার এ কেন হবে ? আজকে আমরা জানবো বৃষ্টিপাত কিভাবে পরিমাপ করে ।
মিলি হচ্ছে মিলিমিটার যা এক মিটারের 1 হাজার ভাগের এক ভাগ এবং এটি হচ্ছে দূরত্ব বা উচ্চতার একক । আর বৃষ্টি যেহেতু পানি বৃষ্টিপাতের একক হওয়া উচিত ছিল লিটার বা ঘনমিটার বা ঘনফুট ইত্যাদি । কিন্তু যদি বৃষ্টিপাত আয়তনে অর্থাৎ লিটার এ মাপা হতো তাহলে এটা অসম্ভব একটি কাজ। কারণ সারা দেশে সারা বছর যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় তা লিটারে রেকর্ড করা খুবই দুঃসাধ্য । এজন্য বৃষ্টিপাতের পরিমাপ এভাবে করা হয় না । পরিমাপের সুবিধার জন্য বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয় উচ্চতা দিয়ে ।
বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র - 'রেইন গেজ, সার্চের ফলাফল ওয়েব ফলাফলগুলি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যেভাবে মাপা হয়, rain gauge
বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র – ‘রেইন গেজ

 বৃষ্টিপাত পরিমাপের জন্য প্রথমে একটি পাত্রে নির্দিষ্ট করা হয়। এখন আর তিনটি ধাপ সম্পন্ন করা হয় ।

১ । নির্দিষ্ট পাত্রটির যেদিক দিয়ে বৃষ্টির পানির ভিতরে প্রবেশ করবে তার ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে হবে ।

২ । বৃষ্টিপাতের সময় ধারণ করা পানির আয়তন মাপতে হবে।

৩ । পরে পানির আয়তনকে ঐ ক্ষেত্রফল দ্বারা ভাগ করে যে উচ্চতা পাওয়া যায় সেটি বৃষ্টিপাত পরিমাপের একক । 

( আয়তন হচ্ছে দুরত্ব × দুরত্ব × দুরত্ব এবং ক্ষেত্রফল হচ্ছে দুরত্ব × দুরত্ব । সুতরাং আয়তনকে ক্ষেত্রফল দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল হবে দুরত্ব । দুরত্ব আর উচ্চতা একই কথা । )
ইচ্ছে করলে আমরা বাসায় ও এ কাজটি করতে পারি । একটি মগ বা বালতি দিয়ে বৃষ্টিপাত পরিমাপ করার জন্য বালতি বা মগের একদম উপরের অংশের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে হবে, যেখান দিয়ে বৃষ্টির পানি ভেতরে প্রবেশ করবে । যখন বৃষ্টি হবে তখন এটাকে সুবিধাজনক জায়গায় রাখতে হবে এবং যতটুকু বৃষ্টির পানি হয়েছে হয়েছে তা পরিমাপ করবো । তখন ওই পানির আয়তন কে নির্নীত ক্ষেত্রফল দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাব ওইটাই হচ্ছে ওই সময়ের বৃষ্টিপাত । একক হবে মিলিমিটার এ ।

2 thoughts on “বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিভাবে মাপা হয়?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *