ভালো প্রেমিক কেন ভালো স্বামী হতে পারেনা ? প্রেম ভালোবাসা এমন এক বিষয় যার উত্তর দেওয়া অনেক কঠিন। কারণ ভালোবাসার শুরু হয় আগুন দিয়ে যার শেষটা ছাই দিয়ে হয়। অনেক লিখেছেন ভালোবাসার শেষ ফল বুকে ব্যাথা চোখে জল। তাছাড়া ভালোবাসার জন্য অনেক তরুন-তরুণী জীবন দিয়ে ভালোবাসা অমর রেখেছেন। কারো মতে ভালোবাসা ছাড়া জীবন চলেনা। নিজেকে জানতে প্রেম করুন এমনো হাজারো উক্তির শেষে আমারা কথা বলবো ভালো প্রেমিক কেন ভালো স্বামী হতে পারেনা।
ভালো প্রেমিক কেন ভালো স্বামী হতে পারেনা এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের প্রথমে প্রেমিক আর স্বামীর মধ্যে পার্থ্যক্য বুঝতে হবে। তো চলুন আমরা এদের মধ্যে প্রথমেই কিছু পার্থ্যক্য খোঁজার চেষ্টা করি।
প্রেমিক ও স্বামীর মধ্যে পার্থ্যক্য
- ১। প্রেমিক হলো আমার গাড়ির লাইসেন্স ছাড়া একজন ড্রাইবার, যে অনেক ভালো ড্রাইবিং পারলেও কোনো এক্সিডেন্ট হলো সামাল দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা।
- ২। স্বামী হলো প্রেমিকের উল্টো, যেমন যেকোনো পরিস্থিতিতে আমার হাত ছাড়বেনা , স্বামীর পক্ষে এটা সম্ভব নয়। কারণ সরকার, সমাজ, আর নিজ নিজ ধর্মীয় বিধান স্বামীদের কাছে এই দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। সুতরাং এদের বুঝিয়ে তার পর হাত ছাড়ার চিন্তা করতে হবে।
- ৩। কয়েক মাসের সম্পক্য বা ভালোবাসা একদিন দেখা না করায়, অথবা প্রেমিক বা প্রেমিকার কোনো একটা আবদার না শুনায় অথবা কোনো একটা বিশেষ দিনো উইশ না করায় বেকাপ শব্দ ইউজ বা ব্যবহারের মাধ্যমে সকল ভালোবাসা শেষ হয়ে যায় ।
- ৪। স্বামীর সাথে একবার কবুল বলার মাধ্যমে যে সম্পর্কের সৃষ্টি হয় বা তৈরি হয় সেটা এতো সহজে নষ্ট হয়ে যায়না। অনেক পরিবার খোঁজে পাওয়া যাবে যারা না খেয়েও একে অপরকে অনেক ভালোবাসে। স্বামীর হাজারো আবদার পূরো না করলে এই ভালোবাসা ঠিকে থাকে। আর হাত ছাড়ার চিন্তা করলেও প্রেমের মতো বেকাপ বলে শেষ হয়না, তালাক তিন বার বলতে হবে। মোহরের টাকা আদায় করে তার পরে আলাদা হওয়ার চিন্তা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ঝগড়ার সময় মানুষ জোরে কথা বলে কেন? মানুষ ফিসফিস করে কথা বলে কখন?
ভালো প্রেমিক ভালো স্বামী না হওয়ার করণ:-
- আমরা উপরের পার্থ্যক্য গুলো ভালো করে পড়ে থাকলে অবশ্যই কিছু কারণ পেয়ে গেছি, তার পরও আমি আর কিছু কারণ বুঝিয়ে বলছি।
- ভালো প্রেমিক ভালো স্বামী নাহ হওয়ার প্রথম কারণ হলো দায়িত্ব। প্রেমিক আর স্বামীর দায়িত্ব এক নয়। একজন সাময়িক দায়িত্ব নেবে আর অন্য জন আপনার মৃত্যু পর্যন্ত দায়িত্ব নেবে। তাছাড়া প্রেমিক বিপদে পাশে থাকবেনা কারণ সেই ক্ষমতা তার নেই । কিন্তু স্বামী নিজের জীবন দিয়ে আপনাকে আগলে রাখবে।
- এবার আসি মূল কথায়- প্রেমিক তার ভালোবাসার মানুষকে সন্দেহ করে আর এর যৌক্তি হলো যাকে বেশি ভালোবাসা যায় তাকেই সন্দেহ করা হয়। এই সন্দেহের কারণে ভালোবাসা কমে যায়,দূরত্ব তৈরী হয়। আর যদি এরা স্বামী স্ত্রী হয় তখন এরা একে অন্যকে সন্দেহ করতেই থাকবে যেটার ফল হবে সংসারে অশান্তি।
- তাছাড়া বেশির ভাগ প্রেমিকই থাকেন বাবার অকর্মা ছেলে। যিনি সারাদিন প্রেমিকা খোজেন আর উনার সাথে ঘুরে ঘুরে নিজ ভালো থাকেন যার কারণে নিজের কোনো আর্থিক অবস্থান হয়না সুতরাং পারিবারিক জীবনে খুব একটা সুখ শান্তি থাকেনা।
- প্রেমিকের হাত ধরে যেমন খুশি তেমন হাটতে পারলেও পারিবারিক জীবনে কিছু বাধ্যবাদকতা রয়েছে যা ঐ সময় অবহেলা মনে হবে। আর ঝগড়া বাধবে।
মূল কথা হলো যে কোনো ভালো কাজের কাজী সব জায়গায় ভালো হয়। এতে ভালো প্রেমিক বলেন আর ভালো স্বামী বলেন। কারণ যদি সত্যিকার অর্থে ভালো প্রেমিক হয় তবে সে ভালো স্বামী হতে পারে। আর একজন ভালো স্বামী ভালো প্রেমিক হতে পারে। তবে যদি ভালোবাসা মিথ্যার আশ্রয় থাকে তবে এই প্রেমিক ভালো স্বামী হতে পাবরেনা।
Good post. I certainly appreciate this website. Continue the good work!